বহুল আলোচিত বরগুনা জেলার রিফাত শরিফ হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামিদের রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ বুধবার । বরগুনা জেলা ও দয়রা জজ আদালতের চিারক জনাব মোঃ আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন ।রায় নিয়ে বরগুনা জেলার আদালত পাড়া ৗ আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্ঠনী গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহীনীর সদস্যরা
তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যা অতিক্রম করে আদলতে প্রবেশ করতে হচ্ছে বিচারক সহ সাংবাদিকদের অ পাশপিাশি জেলাজুড়ে সতর্ক অবস্থান রয়েছেন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বিাহিনির সদস্যরা।

মিন্নি সহ সব আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান রিফাতরে বোন
সরেজমিনে গয়ে দেখা গেছে, আদালত পারায় ,প্রবেশ পথ ও আশেপাশের এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজিবি হাজির হয়েছেন আদালতে ।আদালতের ভিতরে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্গলা বহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
রায়কে গিরে বরগুনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ রিপত্তার ব্যবস্থা রেখেছেন আইনশৃঙ্গলা বাহিনী।

রিফাতের বাবার নিরাপত্তায় দুইজন গানম্যান দিল পুলিশ
রায়কে গিরে বরগুনার বিভিন্ন স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার্স) মহরম আলী বলেন, মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা করাগারে থাকা এই মামলার আট আসামিকে সকাল ১০টার মধ্যে আদালতে হাজির করা হবে।
মহরম আলী বলেন বলেন, রায় ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশষ করে আদালত প্রাঙ্গণে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোনো

সবার আগে বাবার সাথে আদালতে হাজির মিন্নি
যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, রিফাতের রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

কড়া নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুইপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো দা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক কোপ দিতে থাকেন দুই যুবক। ওই সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই যুবককে বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঘটনাটি পুলিশের সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীর সঙ্গে যুদ্ধ করেও স্বামীকে বাঁচাতে ব্যার্থ হন মিন্নি। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর মারা যান রিফাত।

টহলরত অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনী
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল। এরপর আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও দেখে মিন্নির বাবার বিরুদ্ধেও মামলা করার কথা জানান রিফাতের বাবা।
এরই মধ্যে মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে স্বামী হত্যায় ফেঁসে যান মিন্নি। পরদিন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।





সঠিক বিচার যেন হয়,প্রত্যাশা
ReplyDelete