নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার দিনমজুরের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন।
মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে অনিশ্চিত তার ভর্তি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে এসেও মুখে হাসি নেই ইসমাইলের।মো. ইসমাইল হোসেন বরগুনার তালতলী উপজেলার মোমেসেংপাড়া এলাকার দিনমজুর নুরুল ইসলাম ব্যাপারীর ছেলে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩১৬৬তম হয়ে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।ইসমাইলের শিক্ষা জীবনজুড়েই ছিল আর্থিক দুশ্চিন্তা। গ্রামের বাড়িতে ছোট্ট একটি টিনের ঘরেই থাকেন পরিবারের সবাই।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তার বাবা। বাবার দিন মজুরের টাকা দিয়ে তিন বোনকেই এইচএসসি পাশ করিয়ে বিয়ে দেন। এ অবস্থায় ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করানো এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই তার।মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু ইসমাইল বলেন, ‘আমার ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। আল্লাহ আমাকে সেই সুযোগের দারপ্রন্তে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে আমার মনে হয় ডাক্তারি পড়া সম্ভব হবে না। বাবার পক্ষে আমার লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব। আমি মেডিকেলে ভর্তিরে জন্য ফরম কিনেছি দুলাভাইয়ের টাকায়।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি, তিনি যেন আমার লেখাপড়া চালানোর দায়িত্ব নেন। তার সহযোগিতা ছাড়া আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমি সরকারের সহযোগিতায় পড়াশোনা সম্পন্ন করে ভালো একজন চিকিৎসক হতে চাই।’ইসমাইলের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন দিনমজুর। কাজ পেলে ভাত জুটে। কাজ না পেলে পরিবার নিয়ে কষ্টে কাটে। তবুও আমি আমার ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোনো জমি নেই। এখন আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা। সে ছোট বেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে। আমার ছেলে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চাই। তিনি আমার ছেলেকে সহযোগিতা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, ‘আমি শুনেছি ইসমাইল
নামের এক মেধাবী ছাত্র দিনাজপুরের মেজর আ. রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে এখন ভর্তি অনিশ্চিত। এটা খুবই দুঃখজনক। যদি তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
’তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ‘ইসমাইল তালতলীর গর্ব। তাকে অভিনন্দন জানাই। তবে টাকার অভাবে এখন তার ভর্তি অনিশ্চিত। উপজেলা পরিষদ ও ব্যক্তিগতভাবেও তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি ইসমাইলের এই সফলতা ধরে রাখার জন্য বিত্তবান মানুষের কাছে আমার আহ্বান ইসমাইলকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। যাতে ইসমাইল ভর্তির সুযোগ পায় এবং লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারেন।
সুত্রঃ জাগো নিউজ
(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে) এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
0 komentar: