Saturday, October 17, 2020

ডিপিএড প্রশিক্ষণের অবমূল্যায়ন

SHARE

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প কিছু নাই। যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। শিক্ষার্থীরা প্রথম বিদ্যালয়ে এসে তাদের শিক্ষার মূল স্তম্ভ শুরু করে এখান থেকে। প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ তাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাতে ও তা পূরনে প্রস্তুতি করে দেন। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ হচ্ছে ডিপিএড বা ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন প্রশিক্ষণ। দীর্ঘ ১বছর ৬ মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের গাঠনিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হয়। ডিপিএড প্রশিক্ষণ মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি বেতন কাঠামো পরিবর্তনের কথাও এখানে বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষকদের মাঝে এখন ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নেবার পর বেতন ফিক্সেশন নিম্নধাপে হওয়ার কারনে প্রশিক্ষণবিহীনদের তুলনায় একধাপ তাদের বেতন কমে যাচ্ছে। ফলে এই ডিপিএড প্রশিক্ষণকে সবাই অবমূল্যায়ন করছেন। শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের কষ্টের অর্জন এই ডিপিএড প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যদি তাদের বেতন কমে যায় তাহলে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণে নতুন সব শিক্ষকের মধ্যে অনাগ্রহ প্রকাশ পাবে। সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরে কর্মচারীদের ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর যেসব সুযোগ সুবিধার কথা বলা আছে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সে রকম সুযোগ সুবিধার কথা ভাবা উচিত বলে মনে করি।এতে একদিকে শিক্ষকদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে শিক্ষার গুনগতমান যেমন বাড়বে তেমনি ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের গ্রহন যোগ্যতাও সবার কাছে বাড়বে বলে মনে করি। ডিপিএড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর বেতন নিম্নধাপে নির্ধারন না করে উচ্চধাপে নির্ধারন করা হলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করি। ডিপিএড প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত এ সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমাধান করবেন বলে প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ

লেখক
সাজ্জাত হোসেন
সহকারী শিক্ষক
উত্তর কেওয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর,মুন্সীগঞ্জ

এই পত্রিকার আরো সংবাদ পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ


https://manobsebasongbad24.blogspot.com/

SHARE

0 komentar: