![]() |
গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর -২০২০ খ্রিঃ রোজ শুক্রবার ,বিকেল ৪ ঘটিকায়, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নানা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জনাব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
আলোচনায় ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ও সভাপতি প্রধান শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি, জনাব বদরুল আলম সঞ্চালনা করেন।
![]() |
আলোচনা অবস্থানরত শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সম্মানিত নেতারা |
আলোচনা শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি বিদ্যমান সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বাগত বক্তব্য দেন জনাব জাকির হোসেন।
অতঃপর ঐক্য পরিষদের উপস্থিত দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত সম্মানিত নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে বক্তব্য দেন।
বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা,
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রাং,
সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঐক্যপরিষদের কোষাধ্যক্ষ মাহমুদা গাজী সালাউদ্দিন, আক্তার, লাভলি আপা,প্রধান শিক্ষক, সাকাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রধান শিক্ষক সমিতি,মোঃ নূরুল আবছার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,চট্রগ্রাম ও সাধারণ সম্পাদক খাগড়াছড়ি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য পরিষদ এর মুখপাত্র নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল ও সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক , মোঃ আনিসুর রহমান।
![]() |
আলোচনা সভায় অংশ নেয়া শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সম্মানিত নেতাদের এক অংশ |
গতকালকের আলোচনা সভার আলোচিত বিষয় ছিলঃ
(১)১৩ তম গ্রেড সকলেই যেন পাই তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
(২)সপ্তাহের অতিরিক্ত একদিন শনিবারের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রদান করা।
(৩) প্রধান শিক্ষক পদে নিয়মিত পদন্নোতি প্রদান।
(৪) সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি যেহেতু সৃজন করা হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
(৫)প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রদান করা।
(৬)ডি পি ই এড প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট যোগ করা।
(৭)অন লাইনে বদলী প্রক্রিয়ায় যেন অস্বচ্ছতার কোন সুযোগ না থাকে তা নিশ্চিত করা।
(৮)সহকারী শিক্ষকেরা শতভাগ সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকে
পদন্নোতির প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও করেচপন্ডিং করে বেতন নির্ধারণ করা।
(৯.)১০ বছর ও ১৬ বছরে উচতর গ্রেড নিশ্চিত করা।
(১০)শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রতি তিন বছর পরপর প্রাপ্য হওয়ার চিঠি প্রদান করা।
(১১)চাকুরী করা অবস্থায় উচ্চতর ডিগ্রির সার্টিফিকেট সার্ভিস বইয়ে লিপিবদ্ধ করার চিঠি দেওয়া।
(১২)সেচ্ছায় নিজ এলাকায় বদলী নীতিমালায় ৫বছর ও ৭ বছর বা ৭ বছর ও ১০ বছর পর করার দাবী,
(১৩)সমন্বিত নিয়োগ বিধিতে বয়সের সীমাবদ্ধা না রেখে সরাসরি পদন্নোতি দেওয়া।
(১৪) প্রধান শিক্ষককে নবম, সহকারী প্রধান শিক্ষককে ১০ ও সহকারী শিক্ষককে
১১ তম গ্রেড প্রদানের দাবী নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনা ও করনীয় সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা নিয়ে মিটিং সমাপ্তি করা হয়।
অবশেষে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ শিক্ষক নেতা জাকির হোসনের পক্ষ থেকে সকল সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে আবেদন।
প্রিয় শিক্ষক বৃন্দ,
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ শিক্ষকদের পাশে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঐক্য শক্তি ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবী আদায় সম্ভব নয়। যে সকল নেতা ঐক্য ছেড়ে নিজে শিক্ষকের দাবী আদায়ের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সংগঠন সাজানোর অভিনয় করে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে, নিজেকে একক ক্ষমতা সম্পন্ন নেতা হিসেবে পরিচিত করতে সাজানো গোছানো কথা বলছে তারা শিক্ষকদের কল্যাণে আছে কিনা তা আপনিই বিবেচনা করবেন।
0 komentar: