আজ ২৮ ডিসেম্বর-২০২৩খ্রীঃ রোজ বৃহস্পতিবার, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মধ্য হাঁসাড়া ক্লাস্টারের প্রধান শিক্ষকগণের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
জনাব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন মহোদয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মুন্সিগঞ্জ
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম মহোদয়, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, মুন্সিগঞ্জ।
জনাব লক্ষ্মন কুমার দাস মহোদয় , সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, মুন্সিগঞ্জ।
সভাপতিত্ব করেন,
জনাব মোঃ আব্দুল মতিন মহোদয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শ্রীনগর,মুন্সিগঞ্জ
আরো উপস্থিত ছিলেন, হাসাড়া ক্লাস্টার ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয়গণ।
উক্ত মতবিনিময় সভায় নিম্নোক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার , জনাব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন মহোদয়।
১। অনলাইন, অফলাইন ও হোয়াটস এ্যাপে বিদ্যালয় পরিদর্শন।
২। ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে ডায়রী-১ এবং ডায়রী-২ সঠিকভাবে পূরন করা।
৩। আবশ্যিকভাবে প্রথম ও শেষ ক্লাশ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নেয়া।
৪। রুটিন অনুযায়ী পাঠদান এবং বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে আগমন ও প্রস্তান।
৫। SLIP ফান্ড সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে ব্যয় করা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যয় করা।
৬। প্রাক প্রাথমিক শ্রেনিকক্ষসহ অন্যান্য শ্রেনিকক্ষ সজ্জিত করা, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদ্বারা প্রাক প্রাথমিকের ক্লাশ পরিচালনা করা ।
৭। সকল শ্রেনিকক্ষে ব্ল্যাকবোর্ডের পরিবর্তে হোয়াইট বোর্ড স্থাপন করা।
৮। শতভাগ বিদ্যালয়ে ২টি কাবদল খোলা ও কাবিং কার্যক্রম সক্রিয় করা। প্রতিটি বিদ্যালয় হতে কমপক্ষে ২জন শির্ক্ষাথীকে শাপলা এওর্য়াড প্রাপ্তির জন্য অংশগ্রহন করানোর ব্যবস্থা নেয়া।
৯। CRVS অর্থাৎ স্টুডেন্টদের ইউনিক আইডি সঠিক ভাবে দ্রুত সময়ে আপলোড করতে হবে।
১০। বিদ্যালয়ে রাউটারসহ সকল ডিভাইস ঠিকভাবে চালু করা।
১১। শিশু জরীপ অনুযায়ী নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার স্কুল গমনোপযোগী শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা।
১২। ১ জানুয়ারী তারিখে বই বিতরন উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণ করা।
১৩। মা/অভিভাবক সমাবেশ করে নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে ধারনা দেয়া । বিশেষ করে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং প্রান্তিক মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা করা।
১৪। সহপাঠ্যক্রম কার্যক্রম যেমন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলা আয়োজন করে বিদ্যালয়কে শিশুদের মাঝে আকর্ষনীয় করে তুলা।
১৫। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে শ্রেনিপাঠদান করা।
১৬। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেয়ালিকা প্রকাশ করা।
১৭। বিদ্যালয়ে রোপিত বৃক্ষ যত্ন করা এবং শিশুর নামসহ বৃক্ষ রোপন করা।
১৮। শতভাগ শিক্ষার্থীদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিখন ও পঠন দক্ষতা পৌঁছানোর লক্ষ্যে নিয়মিত বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে একপৃষ্ঠা লেখা ও পড়ার বাড়ীর কাজ দেয়া এবং সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।
0 komentar: