দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রহণ শুরু হলেও শিক্ষকরা বদলি নির্দেশিকার বিভিন্ন ধারার কারণে বদলি হতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন পেশ করা হলে নির্দেশিকাটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে, যেসব স্কুলের চার জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন বা শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রয়েছে সেসব স্কুল থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। তবে, প্রতিস্থাপন বা পদায়ন সাপেক্ষে বদলি করা যাবে। শিক্ষা ও শিক্ষার্থী অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডাবল শিফটের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে যেকোনো এক শিফটের শিক্ষার্থীর সংখ্যার মধ্যে যে সংখ্যা বেশি তবে তা ১:৪০ হিসেবে বিবেচিত হবে।
উপজেলার মোট পদের সর্বাধিক ১০ শতাংশ পদে উপজেলার বাইরের শিক্ষকরা বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সংশোধিত নির্দেশিকায় শিক্ষকদের স্বামী বা স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পূরণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তবে, চাকরির বিজ্ঞপ্তির আগে বিয়ে হলে শিক্ষক স্বামী বা স্ত্রী স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা পূরণের শর্তেও আওতায় আসবেন।
0 komentar: