নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন
https://manobsebasongbad24.blogspot.com/2021/04/blog-post_58.html
১২ সেপ্টেম্বর প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পরে স্কুল কলেজ খোলার দিন ছিল। সেদিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সব ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে দেখা গিয়েছিল। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নার্গিস আক্তার ও ঠিক তার ব্যাতিক্রম নয়। সে অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মতো স্কুল খোলার প্রথম দিন রবিবার স্কুলে আসে। হাসিমুখেই ক্লাসে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে তার সেই মুখের হাসি উধাও হয়ে যায়।তার এমন মন খারাপের কারণ ছিল, সে বাদে ক্লাসের বাকি জন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে বন্ধের ভিতরেই। সেই আটজনই বাল্যবিয়ের শিকার। বাকি আছে শুধু সে নিজে।
নার্গিস আক্তার কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা নদীসংলগ্ন চর সারডোবের ‘সারডোব উচ্চ বিদ্যালয়’-এর নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে নার্গিস সাংবাদিকদের কে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, আমার ক্লাসের বান্ধবী নুর বানু, নাজমা, স্বপ্না, মৌসুমী, আশামনি, হেলেনা, চম্পা ও আরফিনার বিয়ে হয়ে গেছে। সে জানায়, আমার ইচ্ছা পাস দিয়ে কলেজে পড়ার। জানি না আমার ইচ্ছা পূরণ হবে কি না! খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সেই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন ছিল মেয়ে। যা মধ্যে আটজনই পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে এ বছর শ্বশুরবাড়িতে উঠেছে। স্কুল খোলার প্রথম দিন নবম শ্রেণির ৩৩ জনের মধ্যে ৯ ছাত্র ও এক ছাত্রী উপস্থিত ছিল।
একই স্কুলের একই অবস্থা দশম শ্রেণিতেও। ১৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন ছাত্রী ছিল। তাদের একজন যার নাম জেসমিন। সে বাদে আর সবারই বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে।
সারডোব উচ্চ বিদ্যালয়ের বাকি ক্লাসগুলোর অবস্থা হল, ষষ্ঠ শ্রেণির একজন, সপ্তম শ্রেণির দুজন, অষ্টম শ্রেণির চারজন, নবম শ্রেণির আটজন ও দশম শ্রেণির তিনজনের গোপনে বাল্য বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলটির শিক্ষক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা পারভীন বলেন, এখানের অভিভাবকরা মেয়ে একটু বড় হলেই আপদ মনে করে দ্রুত বিয়ে দেয়। তাদেরকে অনেক বুঝিয়েও কাজ হচ্ছে না। করোনার কারণে ঠিকমতো খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই সুযোগেই ব্যাপক হারে বাল্যবিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফয়জার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। সে সময়ে ছাত্রদের অনেকেই কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছে। আর ছাত্রীদের অনেকেই বাল্যবিয়ের শিকার।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকা কালীন কতভাগ বাল্যবিয়ে হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।
সুত্র: দৈনিক বিদ্যালয় ও কালের কন্ঠ
(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
0 komentar: