Thursday, June 10, 2021

কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলী কার্যক্রম

SHARE


নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন

শিক্ষকদের বদলী কার্যক্রম বন্ধ আছে গত এক বছরের বেশি সময়কাল ধরে। সর্বশেষ ২০২০ এর শুরুতে শিক্ষকদের বদলির আবেদন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা কারণে তা নিষ্পত্তি করা হওয়ায় শিক্ষকরা বদলী হতে পারেনি।এছাড়া শিক্ষকদের বদলী হতেই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষা অফিস সমুহের দেন-দরবারের কথা কারোর অজানা নয়। এই বদলীর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থাটি অনলাইনভিত্তিক করতে ইতোমধ্য শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার প্রস্তুত হয়েছে।
এই সফটওয়্যারে ব্যবহারে কোনধরনের জটিলতা দেখা যায় কিনা তার পরীক্ষা মূলক ব্যবহার করতে কয়েকটি উপজেলায় প্রস্তুতি মূলক বদলী কার্যক্রম এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে চালু করার কথা ছিল।
কিন্তু লকডাউনের কারণে পুরোদমে অনলাইনে শিক্ষকদের বদলির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এবার লকডাউন শেষ হলে শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার পাইলটিং করতে চায় শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা। এরপর মাসখানিক পাইলটিং করার পর পুরোপুরিভাবে অনলাইন ভিত্তিক বদলি কার্যক্রম শুরু করবে অধিদপ্তর। গত ৪ জুন, শুক্রবার এমনটা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।এর আগে বদলি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে তদবীর ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় সম্পূর্ণ বদলী প্রক্রিয়াটি অনলাইনভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সফটওয়্যার তৈরি হলেও তা পাইলটিং করে এখনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি। তাই শিক্ষকদের বদলি শুরু হচ্ছে না বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-ডিজি।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আরও জানা যায়, এবছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অনলাইন বদলি কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। কিন্ত সফটওয়্যারে কিছু ঝামেলা থাকায় এই কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে সফটওয়্যারটির কিছু এডিট করা হয়। এরপর গত মার্চ মাসে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, এমপি।
এবিষয়ে ডিজি মনসুরুল আলম বলেন, অনলাইন ভিত্তিক বদলি শুরুর আগে আমাদের একটি উপজেলায় পরীক্ষা মূলক পাইলটিং করার পরিকল্পনা ছিল এবং এই পাইলটিংয়ের প্রস্তুতিও শেষ হয়েছিল। এক্ষেত্রে নির্বাচিত উপজেলার বদলির সফটওয়্যার নিয়ে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন ও দেয়া হয়। কিন্তু এপ্রিলের শুরু থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় পাইলটিং শুরু করা যায়নি। তবে লকডাউনের পর পাইলটিং শুরু করা হবে। তিনি বলেন, প্রথমে একটি উপজেলায় আমরা পাইলটিং করবো। এই পাইলটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য বদলির সফটওয়্যারটি ঠিকভাবে কাজ করছে কীনা তা যাচাই করা। এই পাইলটিং মাসখানেক চলবে। পাইলটিং শেষ হলে আমরা প্রথমে উপজেলা পর্যায়ের বদলি শুরু করবো। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলির শুরু হবে।“আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) ম্যানুয়ালি আবেদন জমা নেওয়া হতো। এখন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বদলে অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। তাই আগে ম্যানুয়ালি যারা হার্ডকপিতে আবেদন দিয়েছেন তা বিবেচনার সুযোগ নেই।” গতবছর যারা বদলির আবেদন করেছেন তারা বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন কীনা জানতে চাইলে ডিজি উপরোক্ত কথাটি জানান।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুদিন এই বদলী প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় দারুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন। প্রতি বছর বদলী কার্যক্রম জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চললেও গত একবছর শিক্ষকরা বদলী হতে পারেন নি। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা চাচ্ছেন যেহেতু সকল তথ্য-উপাত্ত অধিদপ্তরের কাছে আছে, সেহেতু এই বন্ধের মধ্যে বদলী কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে শিক্ষা কার্যক্রম বদলীর জনিত কারণে কোনভাবে ব্যহত হত না।

(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)

এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন

এম.এস.24.বি.ডটকম

এই পত্রিকার আরো সংবাদ পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ


https://manobsebasongbad24.blogspot.com/?m=0


SHARE

0 komentar: