নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) এসব নির্দেশনা দিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮ দফা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতিপয় দিকনির্দেশনা দেয়।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।
১০. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।এই নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানানো হয় জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ বা ১৫ এপ্রিল থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে।
(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে) এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment