নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন
https://manobsebasongbad24.blogspot.com/2021/04/blog-post_58.html
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে সে সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।এদিকে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরুতে চলতি ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস নেওয়া হবে। অন্যদের সপ্তাহের শুরুতে কেবল একদিন ক্লাস হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই থেকে তিনটি কক্ষে বসানো হবে। কমানো হবে ক্লাস ও সময়। পর্যায়ক্রমে তা আগের মতো স্বাভাবিক করা হবে। এ ঘোষণার পর স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাউশি।গাইডলাইনে দেখা গেছে, স্কুল-কলেজ খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই ১৯ দফা নির্দেশনা মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-*
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ মুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়গুলো ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
*.শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সব শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
* শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশমুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশমুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশমুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সে বিষয়ে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের দেওয়া ভিডিও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখতে হবে।* প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবক প্রবেশের সময় সরকার দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের ব্যবস্থা করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার এমন ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢোকার আগে সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুঁতে পারে।
*শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে পারস্পারিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
*প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরুপণ করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
* স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত মেরামত, বৈদ্যুতিক মেরামত এবং পানি সংযোগজনিত মেরামত সম্পন্ন করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদেরসঙ্গে সভা করে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কিছু নির্দেশনাঃ
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে আসবে অন্যান শ্রেণিরা সপ্তাহে ১ দিন স্কুল খোলার শুরুতে আসবে তারপর পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি ভালো হলে আস্তে আস্তে সবাই আসবে।
সমাবেশ হবে না তবে খেলাধূলা সীমিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে হবে।
* প্রথম দিকে ৪ ঘন্টা করে ক্লাস হবে।
* শিক্ষক শিক্ষার্থী অবশ্যই মাস্ক পড়ে থাকতে হবে।
* শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে মাস্ক পরে স্কলে আসবে আবার মাস্ক পরে বাড়ি যাওয়া নিশ্চিত করবে অভিভাবকরা।
* অসুস্থ শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে না।
* কোন বিদ্যালয় যদি সংক্রামন হয় তাৎক্ষণিক ঐ বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
* শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যারয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও হাত ধোয়া থেকে শুরু করে তাপমাত্রা প্রতিদিন মাপতে হবে।
দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন
ভালো সংবাদ।
ReplyDelete