Saturday, August 21, 2021

মেয়ে নাদিয়া কেন ১০ বছর পুরুষ সেজে ছিলেন


 
নিজস্ব সংবাদ ডেস্কঃ মানবসেবা সংবাদ টুইন্টিফোর ব্লগস্পট ডটকমঃ

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর ও লাইভ আপডেট দেখতে নিচে ক্লিক করুন

https://manobsebasongbad24.blogspot.com/2021/04/blog-post_58.html

আফগানিস্তানে তালেবানের আগ্রাসন নিয়ে বহু ঘটনাই সামনে এসেছে। বিশেষ করে নারীদের নিয়ে তালেবান নীতি। তালেবানের হাত থেকে বাঁচতে এক নারী নিজে বাঁচতে এবং পরিবারকে রক্ষা করতে হবে টানা ১০ বছর পুরুষ সেজে ছিলেন। নাদিয়া গুলাম দাস্তগির নামের ওই নারী। 
জানা গেছে, আফগানিস্তানে তখন গৃহযুদ্ধ। এমন অবস্থার মধ্যেই ১৯৮৫ সালে কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন নাদিয়া গুলাম দাস্তগির। সে সময় বোরকা ও হিজাব ব্যতীত নারীরা ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার অধিকার পেতেন না, দেশজুড়ে সহিংসতা। চলমান এই পরিস্থিতিতে ১৯৯৩ সালে তালেবানের বোমা হামলায় নাদিয়াদের বাড়ির একাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। পরিবারের সবাই প্রাণে বাঁচলেও মৃত্যু হয় তার ভাইয়ের। নাদিয়া নিজেও গুরুতর জখম হন এবং প্রায় দুই বছর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাটান। ১৯৯৬ সালে কাবুল পুরোপুরি তালেবানদের দখলে চলে গেলে তার জীবনও সম্পূর্ণ বদলে যায়।তখন মাত্র ১১ বছর বয়সী নাদিয়া তার মায়ের কথাতেই প্রথম পুরুষের বেশ ধরেন। অনাহারের হাত থেকে পরিবারকে বাঁচাতে তালেবানের চোখ এড়াতে নিজেকে মৃত ভাইয়ের পরিচয়ে সামনে আনেন। এটা ছাড়া তার হাতে বিকল্প কোনো উপায় ছিল না।
পুরুষের বেশে তিনি বাড়ির বাহিরে একা চলাফেরা করতে লাগলেন, মসজিদে গিয়ে কোরআন পড়া শুরু করেন, এমনকি কাবুলে চাকরিও নেন। এভাবেই দিনের পর দিন উপার্জন করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতেন। ১৬ বছর বয়সের সময় তাকে পুরুষ ভেবে তালেবানরা স্কুলে ভর্তিরও অনুমতি দিয়েছিল। এভাবে পুরুষ সেজে পুরোপুরি ১০ বছর কাটিয়ে দেন নাদিয়া।
এই দিনগুলোতে প্রতিটি মুহূর্তে তিনি নিজেকে আরও বেশি পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতেন। এতে করে মানসিক ও শারীরিক দ্বন্দ্ব মারাত্মক আকার ধারণ করে। এমন অবস্থায় ২০০৬ সালে আফগানিস্তানের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ওই সংস্থাটির সহায়তায় কাবুল থেকে পালাতে সক্ষম হন এই নারী।স্পেনে আশ্রয় নেওয়ার পর সেখানে নাদিয়ার বেশ কিছু দিন চিকিৎসা চলে। পরবর্তীতে স্পেনেরই একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘ব্রিজেস অব পিস’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তুলেন এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অনেকের শিক্ষার দায়িত্ব নেন।
এর আগে, এই ঘটনায় সামনে আসে ২০১০ সালে। বিশ্ব নাদিয়াকে যখন চিনেছিল তখন তিনি ২৫ বছরের তরুণী। নিজের কাহিনি বলেছিলেন সাংবাদিক অ্যাগনেস রটগেরকে। ‘দ্য সিক্রেট অফ মাই টারবান’ উপন্যাসে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তার কাহিনি।
 সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।


(দয়া করে আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে আমাদের পত্রিকার ফেইসবুক পেইজটিকে লাইক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,আপনার এই লাইকটি আমাদের উৎসাহিত করবে সেবামূলক আরও সংবাদ লিখতে)

এখানে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজের like ও Follow এর উপর ক্লিক করুন

এম.এস.24.বি.ডটকম

এই পত্রিকার আরো সংবাদ পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ


https://manobsebasongbad24.blogspot.com/?m=0

No comments:

Post a Comment